অভিশপ্ত
- কর্মকার অনুপ কুমার ১৭-০৫-২০২৪
পৃথিবী হাস্যজ্জল, সুন্দর
কিন্তু এখানে,
নেই হাসি নেই সৌন্দর্য্য,
আছে শুধু কষ্টের দহন
আর নিঃশেষিত জীবনের হাহাকার।
এখানেও চাঁদ ওঠে
সূর্য্য আলো ছড়ায়,
তাদের আলো ছুঁয়ে যায়
ঐ উচু পাহাড়ের টুটি।
এখানেও দিন হয়,
শেষ হয় রাতের প্রহর,
আসে শিশির স্নিগ্ধ ভোর।
শুধু আসে না হাসি,
আসে না আনন্দ।
সব আলো যেখানে মলিন।
অন্ধকার একটি ঘর,
যেখানে জোর করে প্রবেশ করে
মৃদু আলোর আভা।
ঘরের কোনে,
অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে
নিশ্চুপ একটি মেয়ে।
বয়স আঠার কি উনিশ,
যেখানে সদ্য বিকশিত হয়েছে যৌবন সূর্য্যের আলো,
সম্ভাব্য উজ্জল ভবিষ্যত।
নাম তার প্রিয়তি।
সে হাসত, হাসাত আর গাইত,
ছুটে বেড়াত প্রজাপতির মত।
সে ছিল প্রকৃতির সদ্য ফোটা
নিষ্পাপ এক ফুল,
যাকে গোলাপেরও ঈর্ষা হত।
তার উচ্ছলতায় সজীব ছিল প্রকৃতি,
পাখিরা গাইত গান,
ফুল ফুটত বাগানে।
কিন্তু প্রকৃতি আজ অভিশপ্ত, নিশ্চুপ।
পাখির কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেছে,
ফুলের পাপরী গুলো নিষ্প্রান, মলিন।
প্রিয়তী আর হাসেনা,
আসেনা কারো সামনে।
কিন্তু কেন? কেন এই নিরবতা!
কি সেই অভিশাপ?
'এসিড'! যার দহনে
পুড়ে গেছে তার মুখ,
ঝলসে গেছে জীবনের সব রং,
মুছে গেছে জীবনের স্বপ্ন!
তার জীবন আজ অভিশপ্ত,
যেখানে ধুসর সব রং,
আলো এসে দুঃখ পেয়ে ফিরে যায়,
শব্দ এখানে ভাষাহীন।
প্রিয়তীর জীবনে এখন হাসি নেই, উচ্ছলতা নেই,
নেই কোন আলো।
আছে শুধু অন্ধকার, দুঃখের দহন
আর অভিশপ্ত হাহাকার।
[উত্সর্গ এসিড সন্ত্রাসের শিকার সকল নারীকে]
১৭ই ফেব্রুয়ারী ২০০৯ইং
ঢাকা
মন্তব্যসমূহ
এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।